Monday, 13 June 2022

লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

 🎓লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস



🎩বৃটিশ রাজপরিবার হোমিওপ্যাথির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। 

আমরা জানি, রাজপরিবারের সদস্য ডক্টর কুইন (Dr. Quin) কলেরা আক্রান্ত হয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ক্যামফর (Camphor) সেবনে আরোগ্যলাভ করেছিলেন।


 🎩তারপর থেকেই (১৮৩২) তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করেন। 

১৮৪৯ সালে তিনি লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
 বলা যায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের গুণাবলীর কারণেই হোমিওপ্যাথি রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল, 


 🎩এখনও পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা রয়াল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক  হাসপাতালে  স্বগৌরবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

হস্তমৈথুনজনিত কুফল

 হস্তমৈথুনজনিত কুফল


হস্তমৈথুন হচ্ছে যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য পুরুষের লিঙ্গ অথবা নারী তার যোনির ঘর্ষণ এবং স্তন স্পর্শ করে যৌন আনন্দ উপভোগ করে। 

অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে একজন পুরুষের যেসব সমস্যা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ



১.দ্রুত বীর্যপাত( Premature ejaculation). 
২.বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া (Temporary oligospermia).  Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। ফলে পুরুষ Infertility তে ভোগে।
৩.অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। 
৪.পেনিসে শিথিলতা দেখা দেয়।
৫.Nervous system, heart,digestive system, urinary system এবং আরো অন্যান্য System ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬.পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ বালাইয়ের আতুড়ঘরে পরিণত হয়। 
৭.চোখের ক্ষতি হয়। 
৮.স্মরণশক্তি কমে যায়। 
৯.মাথা ব্যথা হয়।
১০.হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শোনেন। 
১১.নাকের ঘ্রানশক্তি কমে যায়। 
১২.সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয় (Leakage of semen). 
 ১৩.হতাশা বেড়ে যায়। 
১৪.স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় এবং রুগ্ন ব্যক্তির মতো দেখায়।
১৫.অনেকের অল্প বয়সে বৃদ্ধ মানুষের মত চেহারা হয়।


হোমিওপ্যাথি তে হস্তমৈথুনজনিত সকল সমস্যার কার্যকর সলিউশন রয়েছে। সঠিক সিম্পটম অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

ডাঃ মোঃ কানিজ শেখ

Wednesday, 30 March 2022

মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

 মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

১. সেঁক নিন


গরম সেঁক নিন। একটি ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ একটি তোয়ালে অথবা মোটা গামছা দিয়ে মুড়িয়ে পেটের ওপর রাখতে পারেন। পেটে সেঁক নিলে তা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। 
হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। যেমন—
সহনীয় তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন
মুখ ভালোভাবে আটকানো আছে কি না দেখে নিন
একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্যাগ উল্টেপাল্টে দিন
‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ এর পরিবর্তে ইলেকট্রিক ‘হিটিং প্যাড’-ও ব্যবহার করা যেতে পারে।


২. ব্যায়াম করুন


পিরিয়ডের ব্যথার কারণে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করার ইচ্ছা না থাকাই স্বাভাবিক। তবে ব্যায়াম অথবা যেকোনো উপায়ে শরীর সচল রাখলে মাসিকের ব্যথা কমে আসতে পারে। হাঁটা, সাইকেল চালানো অথবা সাঁতার কাটার মতো হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।


৩. পেট ম্যাসাজ (আলতো করে মালিশ) করুন


তলপেট ও এর আশেপাশে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে সেটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।



৪. রিল্যাক্স করুন


রিল্যাক্স করার অর্থাৎ মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন ব্যথা ও অস্বস্তির অনুভূতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।


৫. কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন


কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো যায়। এটি আপনাকে রিল্যাক্স করতেও সাহায্য করবে।

Tuesday, 29 March 2022

গরমে সুস্থ থাকার খুঁটিনাটি

 ✍️✍️✍️গরমে সুস্থ থাকার খুঁটিনাটি ✍️✍️✍️


চৈত্র-বৈশাখ মধুমাস। এই মাসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন স্বাদের রসালো ফলের সমাহার হয় । বিভিন্ন রসালো ফলের সমাহার আমাদের মনকে যেমন আনন্দ দেয়  এই মাসগুলোতে গরমে আমাদের তেমনি কষ্ট দেয়। এই মাসগুলোতে সব বয়সী মানুষ বিভিন্ন রোগ ভোগ করে। ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এজাতীয় নানা রোগে ভোগে । তাই এই অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ায় কিভাবে নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ভালো রাখা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক ।


1.প্রচুর পানি পান করুনঃ

 এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন । প্রতিদিনই ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং লবণ আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত 6 লিটার পানি পান করুন।


 2. লেবু,বেলের শরবত ও ডাবের পানি পান করুনঃ

 গরমে নিয়মিত লেবু অথবা বেলের শরবত পান করুন। সম্ভব হলে ডাবের পানি খান । লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল,শর্করা। ডাবের পানিতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন , আয়োডিন ইত্যাদি। এ জাতীয় পানি পান করলে শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ করবে। এবং শরীরে ভিটামিনের ও আয়োডিনের সমস্যা দূর করে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।


 3. রসলো ফল খানঃ

 প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসালো ফল রাখুন। রসালো ফল আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। যেমনঃ তরমুজ , আঙ্গুর, আনারস, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি। এছাড়াও দেশি ফল আম ,জাম ,কাঁঠাল ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।


4. বেশি বেশি সবজি খানঃ

 প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখুন । এসময় যথাসম্ভব কষা রান্না পরিহার করে ঝোল জাতীয় সবজি খান। শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায় বলে ঝোল জাতীয় খাবার থাকা খুবই দরকার ।


 5.মাংস খাওয়া পরিহার করুনঃ

 অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন মাংস খেলে শরীরে নানা রোগ জন্ম দেয়। আর গরমে প্রতিদিন মাংস খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় জাতীয় রোগ বেশি হয় । তাই গরমে সুস্থ থাকতে মাংস জাতীয় খাবার পরিহার করুন।



 6 . চা-কফি পরিহার করুনঃ

 চা এবং কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা শরীরকে সুস্ক করে তোলে । গৃষ্ম কালে প্রচুর ঘামের জন্য শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। তাই গরমের সময় যত সম্ভব চা-কফি, কোলড্রিংস জাতীয় খাবার পরিহার করুন।


 7.ছাত ব্যবহার করুনঃ

 বাহিরে বেরোনোর সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্কিন ক্যান্সারের অন্যতম এই অতি বেগুনি রশ্মি। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমনকি হিট স্ট্রোকও হতে পারে ।


8. হালকা ব্যায়াম করুনঃ

 প্রতিদিন সকালে হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম দেহ-মনের উৎকর্ষতা সাধন করে, দেহ ও মনকে সতেজ রাখে। কর্মক্ষমতা ও শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে । এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


9.ব্যাগে পানির বোতল রাখুনঃ

 বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। অনেক সময় অনেক স্থানে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানের পানি খাওয়ার কারণে আপনার বমি, বদহজম ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিজের সাথে বিশুদ্ধ পানি রাখুন।


10.সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুনঃ

 গরমে সুতির কাপড় আপনার জন্য আরামদায়ক হতে পারে। হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কেননা আট-সাট পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। তাছাড়া গাড়ো রং সূর্যের তাপমাত্রা বেশি শোষণ করে, বিধায় গাড়ো রঙের  পোশাকে গরম বেশি লাগে এবং বেশি ঘাম হয়। যার কারণে শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়ে যায়। তাই প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকতে হালকা রঙের সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।
 সামান্য কিছু নিয়ম আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সুস্থ সুন্দর ও সুখী জীবনযাপন করতে গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো করে চলুন।
                           ধন্যবাদ 

           লেখক ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম খলীল 
               জীবননগর , চুয়াডাঙ্গা

Thursday, 3 February 2022

Leucorrhoea বা সাদাস্রাব

 ➤লিউকোরিয়া (Leucorrhoea)  বা সাদাস্রাবঃ      


◑অস্বস্তির অারেক নাম লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব!
মেয়েদের  জননেন্দ্রিয়ে  স্বাভাবিক  আর্দ্রতা  বজায়  রাখার  জন্য যোনিপথে  একপ্রকার   তরলজাতীয়   পদার্থ   নির্গত হয়।   আর  এই তরল জাতীয় পদার্থ যখন কোনো কারনে মাত্রারিক্ত নির্গত হয় তখন তাকে লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বলে! একে শ্বেতপ্রদর ও বলা হয়!
◑জেনে রাখুন, মেয়েদের  যে কোনো বয়সের যে কোনো সময় কম-বেশি সাদাস্রাব হতে পারে।  
এটি নারীদের পরিচিত ও সাধারণ একটি সমস্যা।   হোমিওপ্যাথি দর্শন অনুযায়ী, এটির সুচিকিৎসা হতে হয়। 
 ◑কারণ এটি কখনো মারাত্মক আকার ধারণ করে অনেক পীড়া এমন কি জরায়ুমুখে প্রথমে ঘা পরে ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করেতে পারে।

☞কারণঃ


◑শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাবের কমন একটি কারণ হচ্ছে ফাঙ্গাল ইনফেকশন। ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে স্রাব দুধের ছানার মত সাদা চাপ চাপ আকারে বের হয় এবং যোনিতে প্রচণ্ড চুলকানি হয়।
◑শরীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন, হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন, প্রাপ্ত বয়সে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের সময়, হস্তমৈুন বা মাস্টারবেশন (অভুলেশন), গর্ভাবস্থায়,অনিয়মিত মাসিক, মাসিক একবারে বন্ধ, মাসিকের সময় ঋতুস্রাব কমে গেলে, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত সহবাসের কারনে!
◑অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, দুর্বল স্বাস্থ্য, অপুষ্টি, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব, রক্তশূন্যতা, কিডনির রোগ, যক্ষ্মা, ক্লোরোসিস, হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের কোনো পীড়ায় রক্ত সঞ্চালনে! পুষ্টিকর ও ভিটামিন জাতীয় খাবারের অভাবেও সাদাস্রাব হয়ে থাকে!


☞লক্ষণঃ


◑পীড়া আরম্ভর পূর্বে কারো কারো প্রথমে কোমড়ে ও কুচকির স্থানে টেনে ধরার মত এক প্রকার ব্যথা, তলপেট ভারী ও প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হতে পারে।
◑প্রস্রাবে কোথানী থাকে, তলপেটে চাপ দিলে ব্যথা লাগে, সামান্য জ্বর জ্বর ভাবও থাকতে পারে।এই অবস্থাা প্রকাশ হওয়ার ৩-৪ দিন পরে জরায়ু থেকে স্রাব নির্গত হয়।
◑স্রাব প্রথমে তরল,স্বচ্ছ ও আঠারমত চটচটে থাকে (দেখতে ঠিক ডিমের লালা বা শ্বেতাংশের মত),পরে ক্রমশঃ ঘন ও পুযেঁরমত হয়।
◑প্রথম দিন থেকে ৬-৭ দিনের মধ্যে জ্বর-জ্বর ভাবসহ স্রাবের পরিমাণ কমে গিয়ে সমস্যাটি প্রাকৃতিকভাবেই সেরে যায়।  
◑আবার কারো কারো ক্ষেত্রে পীড়াটি দীর্ঘদিন চলতে থাকে।এটি সবুজ, রক্ত মিশ্রিত, চাল ধোয়া পানির মত-হলদে,!
◑হলদে-সবুজ মিশ্রিত,পনিরেরমত, দুধের মত সাদা, ভাতের মারের মত সাদা, কখনো তরল (তরুণ সর্দির মত), কখনো গাঢ় ইত্যাদি প্রকারের স্রাব নির্গত হতে পারে।
◑আবার কিছু স্রাবের কারণে যোনিদ্বার চুলকায়, ঘা হয় ও জ্বালা করে। এই স্রাব মাসিক হওয়ার পূর্বে ও পরে বা যে কোনও সময় হতে পারে।
 ◑যৌনসংক্রামক  রোগ বা জীবাণু সংক্রমণের  দ্বারা সাদাস্রাব হলে তার প্রাথমিক প্রধাণ লক্ষণ হচ্ছে,
অতিরিক্ত  পরিমাণে সাদাস্রাব হওয়া,  দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া এবং  যৌনাঙ্গে চুলকানি বা অন্যান্য উপসর্গ  দেখা দেওয়া।


 ✅হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হয়।


◑লিউকোরিয়াতে ব্যবহৃত কিছু হোমিও ঔষধঃ

•Sepia,
•Kreosote
•Alumina
•Borax
•pulsatilla
•platina
•Ammon Carb


🚫ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।❌

Leucorrhoea  বা সাদাস্রাব    


Wednesday, 2 February 2022

এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা

ANEMIA


এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বিশ্বের প্রায়
 চার ভাগের এক ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। বাংলাদেশে এর হার আরো বেশি।
 এনিমিয়া মানে শরীরের পুরো রক্ত কমে যাওয়া নয়। এনিমিয়া হলো-- শরীরে রক্তের পরিমান কম বা
রক্তস্বল্পতা।
এনিমিয়া  বা রক্তস্বল্পতায় মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারন হলো গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
রক্তের একটি বিশেষ উপাদান হলো- লোহিত রক্তকণিকা বা আরবিসি। লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি বিশেষ ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের সব কোষকে উজ্জীবিত রাখে এবং প্রতিটি কোষের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ কার্বন ডাই-অক্সাইড ফুসফুসের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।
এই হিমোগ্লোবিন বয়স ও লিঙ্গভেদে যখন স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে যায় তখন তাকে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বলে। এনিমিয়ায় হিমোগ্লোবিন নিজেই কমে যেতে পারে অথবা পুরো লোহিত কণিকাই সংখ্যায় কমে যেতে পারে।


◑◑বিভিন্ন "কারনে" এনিমিয়া হতে পারে


১◑ রক্তের লোহিত কণিকার
উৎপাদনজনিত সমস্যার কারণেঃ


কঃ আয়রনের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
খঃ ভিটামিন-বি, ফলিক এসিডের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
গঃ অস্থিমজ্জার উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হলে এনিমিয়া হয়ে থাকে।
 ঘঃ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখের জন্য।  যেমন—কিডনি বিকল, লিভার বিকল, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি।
ঙঃ ক্যান্সার জনিত কারনে এনিমিয়া  হয়ে থাকে।


২◑ রক্তের লোহিত কণিকা দ্রুত ভেঙে যাওয়ার কারনেঃ


কঃ জন্মগত কারন। যেমন—থ্যালাসেমিয়া।
খঃ বিশেষ কিছু ইনফেকশনের কারন। যেমন—ম্যালেরিয়া,নিউমোনিয়া টাইফয়েড ।
গঃ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কমের জন্য এনিমিয়া হতে পারে।


৩◑ রক্তক্ষরণজনিত কারনেঃ


কঃ কৃমি,পেপটিকআলসার,দীর্ঘমেয়াদি ব্যথারওষুধ,পাইলস,অতিরিক্ত ঋতুস্রাব।


খঃ দুর্ঘটনাজনিত হঠাৎ রক্তক্ষরণ।


 ◑◑ লক্ষণ গুলো হলোঃ 


কঃ দুর্বল লাগা,অবসাদগ্রস্ততা,ক্লান্তি,
বমি ভাব,শ্বাস নিতে অসুবিধা।
খঃ  বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যাথা হওয়া, মাথা ঘোরা, মাথাধরা,ক্ষুধামন্দা।
 
 গঃ চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ ও  হাত-পা ফ্যাকাসে  হয়ে যাওয়া।
 ঘঃ হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা বা অবশ লাগা এবং ঠান্ডা হয়ে যাওয়া( গরম কালেও)।
 ঙঃ  মুখে ঘা,খাবার গিলতেঅসুবিধা।
এনিমিয়া আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। যে কারণে এনিমিয়া হয়েছে সেটি শনাক্ত করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়াই এনিমিয়ার মূল চিকিৎসা।
 এ জন্য কখনো কখনো অনেকে অন্যের রক্ত দিতে / নিয়ে থাকি।দয়া করে এ কাজটি না করা উওম।
থ্যালাসেমিয়ায় আবার উল্টো। আয়রন বেশি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হয়।  কৃমির, পাইলস বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।



ANEMIA

Tuesday, 1 February 2022

কিভাবে মায়াজমকে চিনব

প্রশ্ন ছিল কিভাবে মায়াজমকে চিনব ---


লেখক: ডাঃ অশ্রু কণা চৌধুরী
এম.এ, ডি. এইচ.এম.এস (ঢাকা), বি, এইচ.বি (ঢাকা)
লেকচারার,
ডাঃ জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন
হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

ডাঃ অশ্রু কণা চৌধুরী 


আমি যদি প্রথমে সোরার কথা বলি, তাহলে বলব,কু'-চিন্তার প্রভাবেই এ সোরার উৎপত্তি।অর্থাৎ,সোরার কাজ হচ্ছে আমাদের নির্মল চিত্তে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি  করে আমাদের জ্ঞানশক্তি,বোধশক্তি এবং ইচ্ছাশক্তিকে দূষিত করে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে বাধ্য করা।
এবং সোরার বিকাশ -- খোস,পাঁচড়া এবং সুখকর চুলকানিতে।যা দিয়ে সোরাকে সহজে চিনতে পারা যায়।
সোরাকে আরও চেনার জন্য একটি বাক্যই যথেষ্ট।সোরা 'মুখোশ পরা এক দার্শনিক '।অর্থাৎ ধর্ম বিষয়ে ভন্ডামীপূর্ণ দার্শনিকতার ভান সোরাদুষ্ট মনের এক বিশেষ পরিচয়(অর্গানন সূত্র নং -৮০)।
কু-কর্মের প্রভাবেই সাইকোসিস এর উৎপত্তি।যেমন-অবৈধ বা দূষিত যৌন সংসর্গে গণোরিয়ার বীজ মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে সে রোগবিষ রোগীর ধাতুতে নিবিড়ভাবে মিশে গিয়ে বিচিত্র লক্ষণাদি প্রকাশ করে (সূত্র নং-৭৯)।
যৌনাঙ্গে ফুলকপির মত উপমাংস বা আঁচিল সদৃশ উদ্ভেদ।মূত্রনালিতে জ্বালা এবং ব্যাথাসহ রক্ত যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই এ মায়াজমকে চিনতে পারা যায়।এছাড়া মুখ গহ্বর,জিহ্বা,তালু,ওষ্ঠ  প্রভৃতিতে সাদা বর্ণের ছিদ্রযুক্ত,স্পর্শকাতর সামান্য উঁচু সমতল উপবৃদ্ধি এবং বগল,ঘাড়,মস্তক প্রভৃতি স্হানে ছোট ছোট ডুমুরাকৃতি অর্বুদ বা আঁচিল দিয়ে ও এ মায়াজমকে সনাক্ত করা যায়।
সাইকোসিসের চরিত্র  হিংসুটে,সন্দেহ পরায়ন,প্রতিহিংসা পরায়ন,গোপন স্বভাবের,খিটখিটে এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির।
                                           (পর্ব - ২)
আসছি পরবর্তী পর্ব নিয়ে।সে পর্যন্ত না হয় থাকলেন আমার সাথে। ধন্যবাদ।

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়

  🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয় নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫...