| ANEMIA |
এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বিশ্বের প্রায়
চার ভাগের এক ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। বাংলাদেশে এর হার আরো বেশি।
এনিমিয়া মানে শরীরের পুরো রক্ত কমে যাওয়া নয়। এনিমিয়া হলো-- শরীরে রক্তের পরিমান কম বা
রক্তস্বল্পতা।
এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারন হলো গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
রক্তের একটি বিশেষ উপাদান হলো- লোহিত রক্তকণিকা বা আরবিসি। লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি বিশেষ ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের সব কোষকে উজ্জীবিত রাখে এবং প্রতিটি কোষের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ কার্বন ডাই-অক্সাইড ফুসফুসের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।
এই হিমোগ্লোবিন বয়স ও লিঙ্গভেদে যখন স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে যায় তখন তাকে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বলে। এনিমিয়ায় হিমোগ্লোবিন নিজেই কমে যেতে পারে অথবা পুরো লোহিত কণিকাই সংখ্যায় কমে যেতে পারে।
◑◑বিভিন্ন "কারনে" এনিমিয়া হতে পারে
১◑ রক্তের লোহিত কণিকার
উৎপাদনজনিত সমস্যার কারণেঃ
কঃ আয়রনের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
খঃ ভিটামিন-বি, ফলিক এসিডের ঘাটতিজনিত এনিমিয়া।
গঃ অস্থিমজ্জার উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হলে এনিমিয়া হয়ে থাকে।
ঘঃ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখের জন্য। যেমন—কিডনি বিকল, লিভার বিকল, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি।
ঙঃ ক্যান্সার জনিত কারনে এনিমিয়া হয়ে থাকে।
২◑ রক্তের লোহিত কণিকা দ্রুত ভেঙে যাওয়ার কারনেঃ
কঃ জন্মগত কারন। যেমন—থ্যালাসেমিয়া।
খঃ বিশেষ কিছু ইনফেকশনের কারন। যেমন—ম্যালেরিয়া,নিউমোনিয়া টাইফয়েড ।
গঃ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কমের জন্য এনিমিয়া হতে পারে।
৩◑ রক্তক্ষরণজনিত কারনেঃ
কঃ কৃমি,পেপটিকআলসার,দীর্ঘমেয়াদি ব্যথারওষুধ,পাইলস,অতিরিক্ত ঋতুস্রাব।
খঃ দুর্ঘটনাজনিত হঠাৎ রক্তক্ষরণ।
◑◑ লক্ষণ গুলো হলোঃ
কঃ দুর্বল লাগা,অবসাদগ্রস্ততা,ক্লান্তি,
বমি ভাব,শ্বাস নিতে অসুবিধা।
খঃ বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যাথা হওয়া, মাথা ঘোরা, মাথাধরা,ক্ষুধামন্দা।
গঃ চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ ও হাত-পা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
ঘঃ হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা বা অবশ লাগা এবং ঠান্ডা হয়ে যাওয়া( গরম কালেও)।
ঙঃ মুখে ঘা,খাবার গিলতেঅসুবিধা।
এনিমিয়া আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। যে কারণে এনিমিয়া হয়েছে সেটি শনাক্ত করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়াই এনিমিয়ার মূল চিকিৎসা।
এ জন্য কখনো কখনো অনেকে অন্যের রক্ত দিতে / নিয়ে থাকি।দয়া করে এ কাজটি না করা উওম।
থ্যালাসেমিয়ায় আবার উল্টো। আয়রন বেশি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। কৃমির, পাইলস বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
| ANEMIA |
No comments:
Post a Comment