কোলেস্টেরল কমানোর ৭টি বিস্ময়কর উপায়ঃ
| কোলেস্টেরল |
| কোলেস্টেরল |
ভেরিকোসিল (Varicocele) |
আমাদের প্রায় সবার মনেই এমন একটা ধারনা কাজ করে যে অন্ডথলিতে একটা কিছু ফুলে উঠাটাই বোধহয় হার্নিয়া, আর হার্নিয়া যদি নাই হয় তবে তো সেটা হাইড্রোসিল হবেই।
আসলে এ দুটোর বাইরে অন্য রোগেও অন্ডথলি ফুলে উঠতে পারে, তেমনই একটা রোগ হলো ভেরিকোসিল (Varicocele)। অন্ডকোষ থেকে যে সকল শিরার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বড় শিরায় ধাবিত হয় সেই শিরাগুলো বড় হয়ে মোটা হয়ে গিয়েই অন্ডথলিকে ফুলিয়ে তোলে এবং এর নামই ভেরিকোসিল।
যে সকল পুরুষ অধিক কামাশক্ত অথবা যারা অত্যধিক হস্তমৈথুন করে তারা যদি হঠাত এই অভ্যাস ছেড়ে দেয় কিন্তু কাম চিন্তা ত্যাগ করতে না পারলে এপিডিডায়মিসের উপর দিকে স্পার্মাটিক কর্ড এর মধ্যে বীর্য ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়ে উঠে।
ইহাতে কোষ উপর দিকে আকৃষ্ট হয়, স্ফীত হয় এবং স্পর্শ করলে, দাড়ালে বা হাটাচলা করলে বেদনার উদ্রক হয়।
লিঙ্গ অর্ধবক্র হয়, এই অবস্থায় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন থাকার পর ধীরে ধীরে ঐ স্ফীত ভাব কমে আসে এবং কখনো আবার বৃদ্ধিও পেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ভেরিকোসিলে পরিনত হয়।
ইহার ফলে পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বা বাকা হয়ে থাকে এবং এটা রাত্রেই বেশি হতে দেখা যায়। ইহাতে রোগী অনেক যন্ত্রনাও ভোগ করে থাকে।
ভেরিকোসিল (Varicocele) |
একজন ভালো হোমিওপ্যাথ রোগীর সবগুলি লক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন পূর্বক যথাযথ ট্রিটমেন্ট দিলেই ভেরিকোসিল অনায়সে নির্মূল হয়ে যাবে।
তবে এই সময় উগ্র মসলা যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। হালকা অথচ পুষ্টিকর খাদ্যই গ্রহণ করা শ্রেয়। কোনো প্রকার মদ্য পান বা উগ্র নেশা করা অনুচিত। সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। রাত্রি জাগরণ এবং অসৎ সঙ্গে মেলামেশা করা আদৌ উচিত নয়।
ভেরিকোসিল (Varicocele) পুরুষের একটি যৌনরোগ।
এ রোগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভয়াবহ যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
এক ধরনের টানাহেঁচড়ার মতো ব্যথা কোমর থেকে প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যথা হাঁটাচলা করলে, দাঁড়ালে এবং গরমকালে বেশি অনুভূত হয়।
যেসব পুরুষ বেশি কামাশক্ত বা যারা বেশি হস্তমৈথুন করে,
তারা যদি হঠাৎ এ অভ্যাস ত্যাগ করে,
কিন্তু কামচিন্তা ত্যাগ না করে,
তা হলে এপিডিডায়মিসের ওপর দিকে স্পার্মাটিক কর্ডের মধ্যে বীর্য ক্রমে সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়ে ওঠে।
এতে কোষ ওপর দিকে আকৃষ্ট হয়, স্ফীত হয় এবং স্পর্শ করলে, দাঁড়ালে বা হাঁটাচলা করলে ব্যথা হয়।
এ অবস্থায় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন থাকার পর ক্রমে ওই স্ফীত ভাব কমে আসে এবং কখনো আবার বৃদ্ধিও পেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ভেরিকোসিলে পরিণত হয়।
এতে পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বাঁকা হয়ে থাকে এবং এটা রাতে বেশি হতে দেখা যায়।
এতে রোগী বেশি যন্ত্রণা ভোগ করে।
ভেরিকোসিল রোগের অত্যন্ত কার্যকরী এবং আরোগ্যকারী হোমিও চিকিৎসা রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ ডাক্তার রোগীর সব লক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে যথাযথ চিকিৎসা করলে রোগটি নির্মূল হয়ে যাবে। চিকিৎসক এ সময় খাবার-দাবার ব্যাপারেও বিধি-নিষেধ জানিয়ে দেবেন।
ভেরিকোসিল রোগীদের ৯৫ ভাগ বাম পাশ্বে আক্রন্ত হয় আর ৫ ভাগ ডান পাশ্বে আক্রান্ত হয়।
অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া (Pain in testicles)
অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড (Mass in scrotum)
কুঁচকিতে ব্যথা (Groin pain)
অণ্ডথলি বা অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া (Swelling of scrotum)
বন্ধ্যাত্ব (Infertility)
তলপেটে ব্যথা (Lower abdominal pain)
অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ (Involuntary urination)
পুরুষত্বহীনতা (Impotence) ত্বকের বৃদ্ধি (Skin growth)
পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া (Penis pain)
পায়ুপথে ব্যথা হওয়া (Pain of the anus)
অস্বস্তি সৃষ্টি।
মৃদু ব্যথা।
স্ক্রটামের শিরার বৃদ্ধি বা মচকে যাওয়া।
ব্যথা বিহীন টেস্টিকুলার লাম্প।
স্ক্রটাল ফুলে যাওয়া বা স্ফিত হওয়া।
বন্ধ্যাত্ব।
শুক্রানুর সংখ্যা কম হওয়া।
বিরলভাবে- কোন উপসর্গ দেখা যায় না।
ভ্যারিকোসিলে প্রধানত শিরার ভাল্বটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার জন্য স্পারমেটিক কর্ডের সাথে অল্প রক্ত সঞ্চালিত হয়,যার ফলে শিরাটি ফুলে যায় ও বড় হয়ে যায়। কিডনিতে টিউমারের মতো অবস্থা দেখা দিলেও শিরায় রক্ত প্রাবাহিত হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি হয়।
চিকিৎসক উপসর্গগুলির সম্পূর্ণ ইতিহাস গ্রহন করেন ও কুঁচকির অঞ্চলটি ভালোভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্ক্রটাম এবং টেষ্টিকেল, এবং দেখেন যে স্পারমেটিক কর্ডএ কোনও পাকানো শিরা আছে কিনা। এক্ষত্রে নীচে শুয়ে থাকা অবস্থায়,এটি দেখা যায় না। আবার, পরীক্ষার সময় টেস্টিক্যালের প্রতিটি সাইড আলাদাভাবে দেখা হয় কারণ দুদিকের টেষ্টিকেলের মাপ আলাদা হয়।
ফেরাম পিক্রিক, পালসেটিলা, বেলেডোনা, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, এগনাস ক্যাকটাস, একোনাইট ন্যাপ, আর্ণিকা, হ্যামামেলিস, ল্যাকেসিস, নাক্সভম, প্লাম্বাম, রুটা, সালফার, লাইকোপডিয়াম, অ্যাসিড ফস, বেলিসপিরিনিস।
শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব |
| Chocolate cyst |
টনসিল হচ্ছে দুটি লিম্ফনোড।
মুখের পিছনে এবং গলার উপর দিকে অবস্থিত। এর কাজ হল রোগ প্রতিরোধ করা। এরা ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুকে বের করে দিয়ে দেহকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
| টনসিল |
এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. তাদের উদ্দেশ্য সংক্রমণের কবল থেকে দেহকে রক্ষা করা।তারা রক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের শ্বসনতন্ত্র বা পাচনতন্ত্র যা আরো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশন সাথে কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থামাতে কাজ করে.
মাঝে মাঝে এই প্রতিরক্ষা ফাংশন যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন টন্সিল স্ফীত এবং ব্যথা শুরু হয়।এই অবস্থায় টনসিল ফুলে যায়।
জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস, কাজ, এবং অবস্থান করলে
ধূমপানে।
ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে।
গিলতে কষ্ট হয়, কানে ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া, মাথা ব্যথা, গলায় ক্ষত, চোয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা, গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া, গলায় সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে, শিশুদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা
নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, টনসিল খুব বড় হলে খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা হতে পারে।
* CBC-তে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়া প্রকাশ পায়।নিশ্চিত হলে আরো কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে।
হোমিওপ্যাথি টনসিলের জনপ্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবিসির তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করেন।
1. Hepar Sulph
2. Baryta Carb
3. Belladonna
4. Calcaria Phos
5. Silicea
বিস্তারিতভাবে যদি বলি তাহলে বলা যায়, শরীরের যেকোন স্থানের (মাথা, হাত, বুক, পিঠ
ইত্যাদি) কোষসমুহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সাথে অস্বাভাবিক (সাধারণত গোল আকৃতির)
| টিউমার |
ও অসামঞ্জস্যভাবে বেড়ে ওঠে তাকে টিউমার বলা হয়। টিউমারের প্রকারভেদঃ টিউমারকে আমরাসা ধারণত তিনভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ (১) হিস্টোমা বা কানেকটিভ টিস্যু টিউমার, (২)
সাইটোমা এবং (৩) টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার। হিস্টোমা টিউমারের প্রকারভেদঃ
হিস্টোমা টিউমার আবার দু’প্রকার। যথাঃ (১) বিনাইন ও (২) মালিগন্যান্ট বিনাইন
টিউমারঃ এই টিউমারগুলো সাধারণত তুলতুলে ও নরম আকৃতির হয়। খুব একটা শক্ত হয় না। এর
বৃদ্ধি ঘটে খুব আস্তে-ধীরে। উপরে কোনো বিশেষ আবরণ থাকে না। এই টিউমারের উপরের চামড়া
বা চর্ম আলাদা বা পৃথক মনে হয়। টিউমারের পার্শ্বে অবস্থিত গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয়
না। এই টিউমারে আঘাত করলে বা কিংবা চাপ প্রয়োগ করলে কোনো যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারঃ এই টিউমার নিরেট আকৃতির বা শক্ত হয়। খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। এই
টিউমারের আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম আলাদা মনে হয় না। এই টিউমার সংলগ্ন
গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয়। টিউমারটিতে চাপ দিলে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এই টিউমারে আঘাতকরলে কিংবা অপারেশন করা হলে ক্ষতি হয়। অপারেশন করলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রায়ই
ক্যান্সার হতে দেখা যায়। শরীরের একেক স্থানের টিউমার যে নামে পরিচিতঃ ১। নাক, জরায়ু
প্রভৃতি শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির টিউমারের নাম প্যাপিলোমা। ২। জরায়ু ও পাকস্থলী প্রভৃতি
স্থানের মাংস পেশির টিউমারের নাম মাইওমা। ৩। চর্মের উপরে যে টিউমার হয় তার নাম
এপিথেলিওমা। ৪। পিঠ, কাঁধ প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটি টিস্যু টিউমারের নাম লিপোমা। ৫।
হাড়ের কার্টিলেজ এর টিউমারের নাম কনড্রমা। ৬। মাথার খুলি, মুখ-মণ্ডল ও নাসিকা গহ্বর
প্রভৃতি স্থানে হাড়ের অস্থি টিউমারের নাম অস্টিওমা। ৭। মস্তিষ্ক কোষের টিউমারের নাম
গ্লাইওমা। ৮। মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি স্থানের লসিকা নালীর টিউমারের নাম
| টিউমার |
লিমফ্যানজিওমা। সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা টিউমার দেখা দেয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের
পরে কার্সিনোমা টিউমার দেখা দেয়। টিউমারের চিকিৎসা :- অপারেশন ছাড়া হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসায় টিউমার সম্পূর্নরুপে আরোগ্যলাভ সম্ভব। তাই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয় নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫...