Sunday, 30 January 2022

কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

কোলেস্টেরল কমানোর ৭টি বিস্ময়কর উপায়ঃ

কোলেস্টেরল


১. এড়িয়ে চলুন ট্রান্স ফ্যাটঃ কোলেস্টেরল কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারগুলো এড়িয়ে চলা, যেমন—বার্গার, পিৎজা, চিপস ইত্যাদি। ট্রান্স ফ্যাট বাজে কোলেস্টেরল বাড়ার প্রধান কারণ।


২. মুরগির মাংস খানঃ লাল মাংস, যেমন—গরু, খাসি ইত্যাদি বাদ দিয়ে খাদ্যতালিকায় মুরগির মাংস বা লিন মিট রাখুন।


৩. ওটস খানঃ কোলেস্টেরল কমানোর আরেকটি উপায় হলো প্রতিদিন সকালে ওটস খাওয়া। ওটসের মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটি কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে।


৪. ব্যায়াম করুনঃ প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। পুস আপ, লেগ লিফটস, হিপ রোটেশন ইত্যাদি করতে পারেন।


৫. ফল খানঃ কোলেস্টেরল কমাতে ফল খান। অধিকাংশ ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ। এগুলো শরীর থেকে বাজে কোলেস্টেরল কমায়।


৬. দারুচিনির কফিঃ গবেষণায় বলা হয়, কফিতে দারুচিনি যোগ করলে কোলেস্টেরল কমে। তাই এটিও খেয়ে দেখতে পারেন।


৭. মাছ খানঃ কোলেস্টেরলের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য মাছ খুব উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন।

Saturday, 29 January 2022

ভেরিকোসিল (Varicocele)

ভেরিকোসিল (Varicocele) কি এর লক্ষণ এবং চিকিৎসা 

ভেরিকোসিল (Varicocele)



আমাদের প্রায় সবার মনেই এমন একটা ধারনা কাজ করে যে অন্ডথলিতে একটা কিছু ফুলে উঠাটাই বোধহয় হার্নিয়া, আর হার্নিয়া যদি নাই হয় তবে তো সেটা হাইড্রোসিল হবেই।


আসলে এ দুটোর বাইরে অন্য রোগেও অন্ডথলি ফুলে উঠতে পারে, তেমনই একটা রোগ হলো ভেরিকোসিল (Varicocele)। অন্ডকোষ থেকে যে সকল শিরার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বড় শিরায় ধাবিত হয় সেই শিরাগুলো বড় হয়ে মোটা হয়ে গিয়েই অন্ডথলিকে ফুলিয়ে তোলে এবং এর নামই ভেরিকোসিল।


যে সকল পুরুষ অধিক কামাশক্ত অথবা যারা অত্যধিক হস্তমৈথুন করে তারা যদি হঠাত এই অভ্যাস ছেড়ে দেয় কিন্তু কাম চিন্তা ত্যাগ করতে না পারলে এপিডিডায়মিসের উপর দিকে স্পার্মাটিক কর্ড এর মধ্যে বীর্য ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়ে উঠে।


 ইহাতে কোষ উপর দিকে আকৃষ্ট হয়, স্ফীত হয় এবং স্পর্শ করলে, দাড়ালে বা হাটাচলা করলে বেদনার উদ্রক হয়। 


লিঙ্গ অর্ধবক্র হয়, এই অবস্থায় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন থাকার পর ধীরে ধীরে ঐ স্ফীত ভাব কমে আসে এবং কখনো আবার বৃদ্ধিও পেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ভেরিকোসিলে পরিনত হয়। 


ইহার ফলে পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বা বাকা হয়ে থাকে এবং এটা রাত্রেই বেশি হতে দেখা যায়। ইহাতে রোগী অনেক যন্ত্রনাও ভোগ করে থাকে।

ভেরিকোসিল (Varicocele)



ভেরিকোসিল (Varicocele) এর অত্যন্ত কার্যকরী এবং আরোগ্যকারী হোমিও চিকিত্সা রয়েছে। 


একজন ভালো হোমিওপ্যাথ রোগীর সবগুলি লক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন পূর্বক যথাযথ ট্রিটমেন্ট দিলেই ভেরিকোসিল অনায়সে নির্মূল হয়ে যাবে। 


তবে এই সময় উগ্র মসলা যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। হালকা অথচ পুষ্টিকর খাদ্যই গ্রহণ করা শ্রেয়। কোনো প্রকার মদ্য পান বা উগ্র নেশা করা অনুচিত। সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। রাত্রি জাগরণ এবং অসৎ সঙ্গে মেলামেশা করা আদৌ উচিত নয়।


ভেরিকোসিল কারন ও লক্ষণ :


ভেরিকোসিল (Varicocele) পুরুষের একটি যৌনরোগ।


 এ রোগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।


 আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভয়াবহ যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।


 এক ধরনের টানাহেঁচড়ার মতো ব্যথা কোমর থেকে প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।


 এ ব্যথা হাঁটাচলা করলে, দাঁড়ালে এবং গরমকালে বেশি অনুভূত হয়। 


যেসব পুরুষ বেশি কামাশক্ত বা যারা বেশি হস্তমৈথুন করে, 

তারা যদি হঠাৎ এ অভ্যাস ত্যাগ করে,

 কিন্তু কামচিন্তা ত্যাগ না করে, 

তা হলে এপিডিডায়মিসের ওপর দিকে স্পার্মাটিক কর্ডের মধ্যে বীর্য ক্রমে সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়ে ওঠে।


 এতে কোষ ওপর দিকে আকৃষ্ট হয়, স্ফীত হয় এবং স্পর্শ করলে, দাঁড়ালে বা হাঁটাচলা করলে ব্যথা হয়। 


এ অবস্থায় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন থাকার পর ক্রমে ওই স্ফীত ভাব কমে আসে এবং কখনো আবার বৃদ্ধিও পেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ভেরিকোসিলে পরিণত হয়। 


এতে পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বাঁকা হয়ে থাকে এবং এটা রাতে বেশি হতে দেখা যায়।


 এতে রোগী বেশি যন্ত্রণা ভোগ করে।


 ভেরিকোসিল রোগের অত্যন্ত কার্যকরী এবং আরোগ্যকারী হোমিও চিকিৎসা রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ ডাক্তার রোগীর সব লক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে যথাযথ চিকিৎসা করলে রোগটি নির্মূল হয়ে যাবে। চিকিৎসক এ সময় খাবার-দাবার ব্যাপারেও বিধি-নিষেধ জানিয়ে দেবেন।


ভেরিকোসিল রোগীদের ৯৫ ভাগ বাম পাশ্বে আক্রন্ত হয় আর ৫ ভাগ ডান পাশ্বে আক্রান্ত হয়।


ভেরিকোসিল রোগের লক্ষণ:


অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া (Pain in testicles)

অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড (Mass in scrotum)

কুঁচকিতে ব্যথা (Groin pain)

অণ্ডথলি বা অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া (Swelling of scrotum)

বন্ধ্যাত্ব (Infertility)

তলপেটে ব্যথা (Lower abdominal pain)

অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ (Involuntary urination)

পুরুষত্বহীনতা (Impotence) ত্বকের বৃদ্ধি (Skin growth)

পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া (Penis pain)

পায়ুপথে ব্যথা হওয়া (Pain of the anus)

এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি ?


ভ্যারিকোসিলে সাধারণত দেখতে পাওয়া লক্ষণ ও উপসর্গগুলি হলঃ

অস্বস্তি সৃষ্টি।

মৃদু ব্যথা।

স্ক্রটামের শিরার বৃদ্ধি বা মচকে যাওয়া।

ব্যথা বিহীন টেস্টিকুলার লাম্প।

স্ক্রটাল ফুলে যাওয়া বা স্ফিত হওয়া।

বন্ধ্যাত্ব।

শুক্রানুর সংখ্যা কম হওয়া।

বিরলভাবে- কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

এর প্রধান কারণগুলি :


ভ্যারিকোসিলে প্রধানত শিরার ভাল্বটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার জন্য স্পারমেটিক কর্ডের সাথে অল্প রক্ত সঞ্চালিত হয়,যার ফলে শিরাটি ফুলে যায় ও বড় হয়ে যায়। কিডনিতে টিউমারের মতো অবস্থা দেখা দিলেও শিরায় রক্ত প্রাবাহিত হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি হয়।


কিভাবে এর নির্ণয় করা হয়:


চিকিৎসক উপসর্গগুলির সম্পূর্ণ ইতিহাস গ্রহন করেন ও কুঁচকির অঞ্চলটি ভালোভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্ক্রটাম এবং টেষ্টিকেল, এবং দেখেন যে স্পারমেটিক কর্ডএ কোনও পাকানো শিরা আছে কিনা। এক্ষত্রে নীচে শুয়ে থাকা অবস্থায়,এটি দেখা যায় না। আবার, পরীক্ষার সময় টেস্টিক্যালের প্রতিটি সাইড আলাদাভাবে দেখা হয় কারণ দুদিকের টেষ্টিকেলের মাপ আলাদা হয়।


ভেরিকোসিল রোগের ডায়াগনোসিস প্যাথলজী পরীক্ষা

Usg of Scrotum


ঔষধ সমূহ:

ফেরাম পিক্রিক, পালসেটিলা, বেলেডোনা, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, এগনাস ক্যাকটাস, একোনাইট ন্যাপ, আর্ণিকা, হ্যামামেলিস, ল্যাকেসিস, নাক্সভম, প্লাম্বাম, রুটা, সালফার, লাইকোপডিয়াম, অ্যাসিড ফস, বেলিসপিরিনিস।

Friday, 28 January 2022

যেসব অভ্যাসের কারণে হারাতে পারেন সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা

যেসব অভ্যাসের কারণে হারাতে পারেন সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা




ইদানীং বেশিরভাগ পুরুষ স্পার্মের পরিমাণ নিয়ে ভুগছেন। স্পার্ম কাউন্ট কম হওয়ায় অনেক দম্পতি বাবা-মা হতে পারেন না। তবে নিজেরা একটু সচেতন থাকলে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এই বিষয়ে অনেক আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। নয়তো ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। আমাদের প্রতিদিনের করা কিছু কাজের মাধ্যমেই আমরা সম্মুখীন হচ্ছি এই বিশাল বিপদের।

পুরুষের এই স্পার্ম কীভাবে কমে যায় তার বেশ কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জার্নাল এনএইচএস-এ। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো-

ড্রাগ


ড্রাগ অ্যানাবলিক স্টেরয়েড পেশির শক্তি ও বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে অণ্ডকোষ সংকুচিত হয়ে যায় এবং স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। অর্থাৎ মাদক গ্রহণে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

অ্যালকোহল


অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস থাকলে সাবধান হোন। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমায় অ্যালকোহল, যা আপনার সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করবে। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল পান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ধূমপান


টোবাকো মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। পাশাপাশি এটা স্পার্ম কাউন্টও কমিয়ে দেয়। এ জন্য আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

ডিপ্রেসন


যদি আপনি ডিপ্রেশনের শিকার হন, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার স্পার্ম কাউন্ট কম হওয়ার অন্যতম কারণ এটা।

ওজন

ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। এ জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

Wednesday, 26 January 2022

শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব

শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:


এই সমস্যা সাইকোসোমেটিকের কারণে (ভয়, চিন্তা, অপমান, ক্রোধ) অথবা শারীরিক সমস্যা অর্থাৎ মূত্রনালীতে স্ফিঙ্কটার মাংসপেশীর দুর্বলতার জন্য হতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিছানায় প্রস্রাব করার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

স্নায়বিক উত্তেজনা, ক্রিমি দোষ প্রভৃতির কারনে মূত্রাশয়ের সংরক্ষণ শক্তির হ্রাস পেলে কিছু বেশি বয়সেও শিশু ঘুমন্ত অবস্থায় অসাড়ে বিছানায় প্রস্রাব করে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:


✅✅ সিনা
✅✅অ্যাসিড ফস
✅✅ক্রিয়োজোট
✅✅স্ট্যাফিসেগ্রিয়া
✅✅পেট্রোসেলিনাম স্যাটিভাম
✅✅ট্যাবেকাম
✅✅ফেরাম ফস


রাতে শিশুকে বিছানা থেকে উঠিয়ে মাঝে মাঝে প্রস্রাব করালে সময় সময় ওষুধ ছাড়াই ভালো হতে দেখা যায়।

শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে করণীয় কি?

যথাযথ ক্রিমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হলে, ঘুমানোর আগে বেশি পরিমাণ পানি পান থেকে বিরত রেখে বা নিয়ন্ত্রণ করে, মূত্রনালীর সংক্রমণ, জননাঙ্গ সংক্রান্ত অস্বাভাবিকতা ও অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের চিকিৎসা করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বি:দ্র: চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবনে হিতের বিপরীত হতে পারে।

শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব


Tuesday, 25 January 2022

ফাইব্রয়েডে

প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী ফাইব্রয়েডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পেট ব্যথা, কোমরের নিচে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা রকম উপসর্গে ভোগেন।


Monday, 24 January 2022

chocolate cyst

ডিম্বাশয়ের_চকলেট_সিস্ট (chocolate cyst)


আজকাল মেয়েদের অনেকেরই ডিম্বাশয়ে এক ধরনের সিস্ট হয়, যে সিস্ট সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা অতি সীমিত। সেটি হচ্ছে চকলেট সিস্ট। চকলেট সিস্ট হচ্ছে এক ধরনের এন্ডোমেট্রিয়াল সিস্ট (Endometrial cyst)। এন্ডোমেট্রিওসিস হচ্ছে জরায়ু ব্যতীত অন্য কোথাও এন্ডোমেট্রিয়ামের উপস্থিতি। যখন ডিম্বাশয় আক্রান্ত হয় তখন একে ডিম্বাশয়ের চকলেট সিস্ট বলে। এন্ডোমেট্রিওসিস এর সবচেয়ে কমন জায়গা হচ্ছে এই ডিম্বাশয়। এটি সাধারণত হলে দুই দিকেই হয় অর্থাৎ দুই পাশের ডিম্বাশয় আক্রান্ত হয়।

সাধারণভাবে জরায়ু ব্যতীত এন্ডোমেট্রিয়াম অন্যত্র থাকার কথা নয়। কিন্তু যখন অল্প কিছু এন্ডোমেট্রিয়াল কলা (জরায়ুর সবচেয়ে ভেতরের দিকের কলা) ডিম্বাশয়ের ভেতরে তৈরি হয়,  রক্তপাত করে ও বেড়ে উঠে  তখন এই রোগ হয়ে থাকে। মাসের পর মাস এভাবে রক্ত ভাঙতে থাকলে এটি এক সময় বাদামি আকার ধারণ করে। যখন এটি ফেটে যায় তখন ভেতরের সব কিছু আশেপাশের অঙ্গ সমুহের (জরায়ু, মুত্র থলি, অন্ত্র) উপর ছিটকে পড়ে।

চকলেট সিস্টের লক্ষণসমুহ


১. কোন লক্ষণ নাও থাকতে পারে (২৫%)।

২. তলপেটে ব্যথা (৫০%) (মাসিকের কিছুদিন আগে থেকে কিন্তু মাসিকের সময়ে বেশি)।

৩. মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত ও বার বার মাসিক হওয়া (৬০%)।

৪. দীর্ঘদিন তলপেটে ব্যথা থাকা।

৫. উদরে ব্যথা।

৬. সন্তান না হওয়া (৪০-৬০%)।

তলপেটের পরীক্ষা করলে পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পাউচ অফ ডগ্লাসে (Pouch of Douglas) ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এডনেক্সাতে (Ednaxa) একটি অথবা দুটি বিভিন্ন সাইজের সিস্ট বোঝা যায় অনেক সময়।

অন্যান্যঃ প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া, প্রস্রাবে রক্ত আসা, জ্বালা পোড়া হওয়া,পায়খানায় কষ্ট হওয়া ও রক্ত যাওয়া।
Chocolate cyst



কীভাবে নির্ণয় করবেন


১. তলপেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম (ultrasonogram)

২. ট্রান্স ভেজাইনাল সনোগ্রাফি (Trans Vaginal Sonography)।

৩. সিরাম মার্কার সি এ- ১২৫ (Serum Marker CA- 125)।

৪. ল্যাপারোটমি (laparotomy)।

৫. বায়োপসি (Biopsy)।


চকলেট সিস্টের চিকিৎসা
এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা করা হয় ঔষধের মাধ্যমে কিন্তু কাজ না হলে অপারেশন করে কেটে ফেলা হয়। যাদের কোন লক্ষণ থাকে না তাদের ক্ষেত্রে কিছু করার দরকার নেই। একজন কম বয়সী বিবাহিত মেয়ের বিয়ের পরে বাচ্চা ধারণ করলে এমনিতেই এটি সেরে যায়।

হরমোনের মাধ্যমে চিকিৎসা


১. খাবার জন্ম বিরতিকরণ পিল।

২. শুধু প্রোজেস্টেরন (Progesterone)।

৩. গোনাডোট্রপিন রিলিজিং হরমোন (Gonadotropin-releasing hormone)।

৩. ডানাজল।

অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা


১. সিস্টটি যতটুকু সম্ভব কেটে ফেলা হয়।

২. যদি পরিবার সম্পূর্ণ হয়ে থাকে এবং বয়স চল্লিশের বেশি হয় বা যদি এন্ডোমেট্রিওসিস পেলভিসের (Endometriosis pelvis) সর্বত্র ছড়িয়ে একটা আরেকটার সাথে লেগে থাকে যা ছোটানো কষ্টকর সেক্ষেত্রে জরায়ু সম্পূর্ণরূপে দুই দিকের টিউব ও ডিম্বাশয়সহ কেটে ফেলা হয়।

কী কী জটিলটা দেখা দিতে পারে


 সিস্টটি ফেটে যেতে পারে।

 চকলেট সিস্ট এ ইনফেকশন হয়ে থাকতে পারে।

 অন্ত্রে অবস্ট্রাকশন (Intestinal obstruction) হতে পারে।

 খুব বিরল হলেও ক্যান্সার হতে পারে।

সাধারণত এই রোগটি ৩০-৪৫ বছর বয়সের নারীদের হয়ে থাকে। এদের অধিকাংশেরাই একটি সন্তানও হয় নি এমনটাই দেখা যায় অথবা সিস্টের লক্ষণ দেখা দেওয়ার অনেক আগে একটি বা দুটি বাচ্চা হয়ে থাকতে পারে। এই রোগটি বংশগত হতে পারে।

নারীদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হলে নিজের শরীর সম্পর্কেও সঠিক ধারণা থাকতে হবে। সুতরাং, নিজেকে জানুন ও সুস্থ থাকুন।

টনসিলের_চিকিৎসায়_হোমিওপ্যাথি

টনসিল কী?

টনসিল হচ্ছে দুটি লিম্ফনোড।

মুখের পিছনে এবং গলার উপর দিকে অবস্থিত। এর কাজ হল রোগ প্রতিরোধ করা। এরা ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুকে বের করে দিয়ে দেহকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। 

টনসিল 


টনসিল এর কাজঃ

এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. তাদের উদ্দেশ্য সংক্রমণের কবল থেকে দেহকে রক্ষা করা।তারা রক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের শ্বসনতন্ত্র বা পাচনতন্ত্র যা আরো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশন সাথে কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থামাতে কাজ করে. 


টনসিল হওয়ার কারণঃ 

মাঝে মাঝে এই প্রতিরক্ষা ফাংশন যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন টন্সিল স্ফীত এবং ব্যথা শুরু হয়।এই অবস্থায় টনসিল ফুলে যায়।

অন্যান্য কারণসমূহ

জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস, কাজ, এবং অবস্থান করলে

ধূমপানে।

ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে। 


লক্ষণসমূহঃ


গিলতে কষ্ট হয়, কানে ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া, মাথা ব্যথা, গলায় ক্ষত, চোয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা, গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া, গলায় সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে, শিশুদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা 

নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, টনসিল খুব বড় হলে খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা হতে পারে।

পরীক্ষাঃ

* CBC-তে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়া প্রকাশ পায়।নিশ্চিত হলে আরো কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে। 


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ


হোমিওপ্যাথি টনসিলের জনপ্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবিসির তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করেন। 


সহায়ক গুরুত্বপূর্ন ৫টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ


1. Hepar Sulph


2. Baryta Carb


3. Belladonna


4. Calcaria Phos


5. Silicea


● বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের  ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

Sunday, 23 January 2022

Medicine

Homeopathic for sleep

Medicine 


টিউমার

 টিউমার কি চলুন জেনে নেই-  দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকেই টিউমার বলা হয়।

বিস্তারিতভাবে যদি বলি তাহলে বলা যায়, শরীরের যেকোন স্থানের (মাথা, হাত, বুক, পিঠ

ইত্যাদি) কোষসমুহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সাথে অস্বাভাবিক (সাধারণত গোল আকৃতির)

টিউমার 


ও অসামঞ্জস্যভাবে বেড়ে ওঠে তাকে টিউমার বলা হয়। টিউমারের প্রকারভেদঃ টিউমারকে আমরাসা ধারণত তিনভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ (১) হিস্টোমা বা কানেকটিভ টিস্যু টিউমার, (২)

সাইটোমা এবং (৩) টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার। হিস্টোমা টিউমারের প্রকারভেদঃ

হিস্টোমা টিউমার আবার দু’প্রকার। যথাঃ (১) বিনাইন ও (২) মালিগন্যান্ট বিনাইন

টিউমারঃ এই টিউমারগুলো সাধারণত তুলতুলে ও নরম আকৃতির হয়। খুব একটা শক্ত হয় না। এর

বৃদ্ধি ঘটে খুব আস্তে-ধীরে। উপরে কোনো বিশেষ আবরণ থাকে না। এই টিউমারের উপরের চামড়া

বা চর্ম আলাদা বা পৃথক মনে হয়। টিউমারের পার্শ্বে অবস্থিত গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয়

না। এই টিউমারে আঘাত করলে বা কিংবা চাপ প্রয়োগ করলে কোনো যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।

ম্যালিগন্যান্ট টিউমারঃ এই টিউমার নিরেট আকৃতির বা শক্ত হয়। খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। এই

টিউমারের আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম আলাদা মনে হয় না। এই টিউমার সংলগ্ন

গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয়। টিউমারটিতে চাপ দিলে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এই টিউমারে আঘাতকরলে কিংবা অপারেশন করা হলে ক্ষতি হয়। অপারেশন করলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রায়ই

ক্যান্সার হতে দেখা যায়। শরীরের একেক স্থানের টিউমার যে নামে পরিচিতঃ ১। নাক, জরায়ু

প্রভৃতি শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির টিউমারের নাম প্যাপিলোমা। ২। জরায়ু ও পাকস্থলী প্রভৃতি

স্থানের মাংস পেশির টিউমারের নাম মাইওমা। ৩। চর্মের উপরে যে টিউমার হয় তার নাম

এপিথেলিওমা। ৪। পিঠ, কাঁধ প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটি টিস্যু টিউমারের নাম লিপোমা। ৫।

হাড়ের কার্টিলেজ এর টিউমারের নাম কনড্রমা। ৬। মাথার খুলি, মুখ-মণ্ডল ও নাসিকা গহ্বর

প্রভৃতি স্থানে হাড়ের অস্থি টিউমারের নাম অস্টিওমা। ৭। মস্তিষ্ক কোষের টিউমারের নাম

গ্লাইওমা। ৮। মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি স্থানের লসিকা নালীর টিউমারের নাম

টিউমার 


লিমফ্যানজিওমা। সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা টিউমার দেখা দেয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের

পরে কার্সিনোমা টিউমার দেখা দেয়। টিউমারের চিকিৎসা :- অপারেশন ছাড়া হোমিওপ্যাথি

চিকিৎসায় টিউমার সম্পূর্নরুপে আরোগ্যলাভ সম্ভব। তাই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

Homoeo Medicine

আমি_সিপিয়া_বলছি
🚯 সিপিয়া একটি ঔষধটি প্রানীজ ঔষধ। ✡️আমি দেখতে কেমন -- 🔯 সিপিয়া হলো কাটল ফিশ নামক এক প্রকার মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। 🔯কাটল মাছের চেহারাটা লম্বাটে ধরনের।এর গড়নও লম্বাটে ধরনের। কাটল্ ফিশের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এরা কখনো সন্তান প্রতিপালন করে না। ⚛️ আমি কেমন প্রকৃতির....... আমি সমুদ্রে দলবদ্ধভাবে কখনোই ঘোরাঘুরি করি না। আমি স্বাধীন ভাবে একা একা ঘুরতে পছন্দ করি। আমার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল আমি কখনোই সন্তান প্রতিপালন করতে পারি না। অর্থাৎ আমি নিজের ডিমফোটা বাচ্চা থেকে সবসময় দূরে দূরে থাকি। আমি পানির ভিতরে বা উপরে হোক না কেন আমার পাখনা স্থির রাখতে পারি না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো, আমি বেশিক্ষণ এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারি না। 🔯🔯আমার কিছু মূল্যবান কথা বলতে চাই --- ✳️আমি পূর্বে বড় স্বাস্হ্যবান ছিলাম কিন্তু বর্তমানে সংসারের মোহে পড়ে একে বারে রোগাটে হয়ে গেছি।মানে পুরাই মেদহীন। ✳️ আমার সব সময় শরীলে জীর্নশীর্ন ভাব থাকে। ✳️আগে যাদের বেশি ভালবাসতাম তাদের বড়ই অচেনা লাগে। ✳️সব কিছু পেয়েছি কিন্তু আমার স্বপ্ন মরুচিকার মতো। ✳️আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু আমি তার মনের মতো হতে পারলাম না। 🔯🔯এই মানসিকতায় মহিলাদের জন্য উপকারী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, মানুষের মধ্যে থাকতে অসহ্য লাগে কিন্তু একা থাকতে আবার ভয় করে। ✳️সিপিয়ার রোগী প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। ✳️সিপিয়ার রোগীর মনে হয় জরায়ু নিচ থেকে বের হয়ে যাবে। ✳️নিচের দিকে ঠেলা মারা বেদনা হয়। ✳️জরায়ু শুষ্ক থাকে বিধায় স্বামী সহবাসে কষ্ট হয়। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগী বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। ✳️বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার জন্য যাহা কিছু দরকার তাহাই চেষ্টা করে থাকে। ✳️এমনকি নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও বিপরীত লিঙ্গের লোকের কথা মেনে চলার চেষ্টা করে। ✳️সিপিয়া রোগী খুবই দূর্বল হয়ে থাকে। ✳️অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে থাকে। ✳️বিশেষতঃ হাটু চেপে বসে অনেকক্ষণ কাজ করলে বেশি দুর্বল হয়ে থাকে। ✳️সিপিয়ার চলাফেরা অতি স্লো | এই ঔষধের রোগী ভারী কাজ করতে পারে না, বললেই চলে। ✳️সিপিয়ার রোগীর সাংসারিক কাজে মন থাকে না কিন্তু বাহিরের কাজ ঠিকমতো করে থাকে। ✳️বাজার করা,কারেন্ট বিল, পানি বিল দেওয়া ইত্যাদি। ✳️সিপিয়ার রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে। ✳️সিপিয়ার রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে। ✳️সিপিয়ার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন হলো--সকালে মুখ ধোয়ার সময় বমি বমি ভাব দেখা যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীর চেহারা দেখিলে প্রকৃত বয়স অপেক্ষা বেশি বয়স বলে মনে হয়ে থাকে। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীর গোসলে ইচ্ছা থাকে কিন্তু গোসল সহ্য হয় না। ✳️সিপিয়া রোগীর, ঋতুস্রাবকালে পিপাসা বেশি হয়,ঋতুস্রাবকালে অত্যধিক চুল ওঠে।বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার পর যে ঋতুস্রাব হয় ঐ সময় অত্যধিক চুল ওঠে। ✳️ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত কাশি হয়। ✳️মাসিক শুরু তো কাশি শুরু,মাসিক শেষ তো কাশি শেষ। ✳️পোশাকের দিক হতে কালো পোশাক পছন্দ করে। যে কোন কালারের পোশাক পড়লেও কালো রংয়ের প্রাধান্য থাকে। সাদার উপর কালো স্টেপ, অথবা হলুদের সাথে কালে মিশেল ইত্যাদি। ✳️সিপিয়াতে প্রচুর পরিমানে সাদা স্রাব থাকে | বলতে গেলে সবসময় সাদাস্রাব কম বেশি লেগেই থাকে, সাথে জরায়ুতে চুলকানি থাকে। ✳️ঘামের ক্ষেত্রে, মুখমন্ডল ছাড়া সারা শরীর ঘামে থাকে। ✳️কথা বলতে গেলে, সাধারণত না কেঁদে কষ্টের কথা বলতে পারে না। ✳️সিপিয়া রোগীর, খাওয়ার পরেও, পেটটা খালি খালি বোধ হয়ে থাকে | 🚷🚷 🚷সিপিয়া একটি এন্টি সোরিক, এন্টি সাইকোটিক ঔষধ। ✳️ইহা সাধারনত বামপাশে ভালো কাজ করে। ✳️ইহা একটি শীতকাতর ঔষধ। 🚷আসুন দেখি, সিপিয়ার রোগী কিভাবে চেনা যায়। ✳️যে সকল মহিলা রোগী লম্বা ও পাতলা হয়ে থাকে। ✳️কাঁধ হতে কোমর পর্যন্ত সরল হয়ে থাকে। পুরুষের মতো গঠন হয়ে থাকে। কোমরে কোন ভাঁজ থাকে না বললেই চলে। নিতম্ব পুরুষের মত সুগঠিত ও অপ্রশস্ত থাকে। ✳️যখন হাঁটবে তখন নিতম্বতে কোন ছন্দ থাকে না এই সকল রোগীরাই সিপিয়ার রোগী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ✳️সিপিয়ার রোগী পিছন দিক থেকে দেখলে পুরুষের মতো মনে হয়। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়া রোগীর নিকট মাতৃত্ব একটা বোঝা মনে হয়ে থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগী মুলতঃ লাজুক টাইপের হয়ে থাকে। ✳️এরা চিপিয়া চিপিয়া কথা বলে থাকে। ✳️তবে, সিপিয়ায়ও মাঝে মাঝে একগুঁয়ে ও উত্তেজিত ভাবও দেখা যায় | ✳️সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। ✳️সেকারনে,মেন্টালি ডিপ্রেশনে ভোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ✳️সিপিয়ার রোগিনীর নিজের অজান্তেই কান্না পায়। ✳️সাধারণত বজ্রপাতে মহিলারা একটু ভয় পেয়ে থাকে। ✳️কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায় ✳️কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায়। ✳️সিপিয়ার রোগী রোগের কারণে সুইসাইড করতে চায়। ✳️অতিরিক্ত তামাক খাওয়ার জন্য যে মানসিক যে কুফল হয় সিপিয়া সেই কুফল দূর করতে উপযোগী। ✳️সিপিয়ার রোগী ভবিষ্যতের ভয় নিয়ে টেনশন বেশি করে থাকে। ✳️ কি খাব, কি করবো,তাছাড়া, ভূতের ভয় , কল্পনায় মৃত ব্যক্তির ছবি দেখে ভয় ইত্যাদিও থাকে। ✳️প্রেমের সময় কত প্রতিশ্রুতি থাকে,পার্কে বসে বাদাম খায় | আর বিশাল বিশাল চিন্তা করে।ভবিষৎত জীবন নিয়ে কল্পনার হাওয়ার ওড়ে।কিন্তু, প্রেমের বিয়ের পর বাস্তব জীবনে এসে হতাশ হয়ে পড়েন। ✳️যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী। ✳️যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীনির, নিচের ঠোট মোটা থাকে।অনেকের ক্ষেত্রে, নিচের ঠোট সর্ব ঋতুতেই ফাটা ফাটা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীরা, গলার টাই, মাফলার , জামার গলায় বোতাম বা মহিলারা কামিজ পড়লে টাইট গলা পড়তে পারে না, সর্বদা উহা ঢিলা করিয়া পড়ে থাকে। ✳️সাধারণত সিপিয়ার রোগীর জিহ্বা অপরিস্কার থাকে। ✳️তবে, মনে রাখবেন প্রতিবার ঋতুস্রাব চলাকালে জিহ্বা পরিস্কার হয়ে থাকে আবার, ঋতুস্রাব বন্ধ হইলেই উহা অপরিস্কার হয়ে যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীনি, টক ঝাল খুবই পছন্দ করে। ✳️সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে। ✳️সিপিয়ার পেটে ব্যথা সবসময় পেটের সামনে থেকে পিছনের দিকে যায়।মানে পেট হতে কোমরে,মাসিকের সময় হোক বা অন্য যে কোন সময় হোক না কেন এই রকম পেটে ব্যাথায় সিপিয়া খুবই উপকারী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, খাবারের কথা চিন্তা করলেই পাকস্থলীতে শূনত্যাবোধ হয়ে থাকে ✳️মনে রাখবেন, ঋতুস্রাব সময়ের কিছুদিন আগে বা কিছুদিন পরে হোক, ঋতুস্রাবে স্বল্প হোক বা বেশি হোক সর্বক্ষেত্রেই সিপিয়া উপযোগী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে।সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর, ঘনঘন গর্ভপাত হয়ে থাকে। ✳️অকাল প্রসবের প্রবণতা দূর করার ক্ষেত্রেও সিপিয়া খুবই উপকারী। ✳️সাধারনত ৫ম হইতে ৭ম মাসে গর্ভস্রাব হইবার প্রবনতা থাকলে সিপিয়া ভালো কাজ করে। ✳️গর্ভাবস্থায় দুধের মতো সাদা বমি সিপিয়া ছাড়া অন্য কোন ঔষধে নাই বললেই চলে। ✳️অতিরিক্ত স্বামী সহবাস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, অতিশয় রক্তক্ষয়, অতিরিক্ত স্তন্যদান হেতু স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলেও সিপিয়া চিন্তা করা যেতে পারে | ✳️সিপিয়ার পুরুষদের লিঙ্গমুন্ডের মাথায় গ্লীট আটকে যায় এই অবস্থায় সিপিয়া খুবই মূল্যবান ঔষধ। ✳️মাসিক শুরু তো কাশি শুরু, মাসিক শেষ তো কাশি শেষ। ✳️সিপিয়ার রোগীর, জরায়ুর মুখের উপরদিকে তীব্র সূচ ফোটানো বেদনা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর, মলত্যাগকালে এবং মলত্যাগের পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বারে যন্ত্রণা থাকে।মলদ্বারে একটা গোলা থাকার ন্যায় অনুভূতি থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগী বাম কাতে শুলে হার্টে ব্যাথা বা দম বন্ধ ভাব হয় বা আড়ষ্টতা দেখা যায় | সেকারনে ডান কাতে শুলে আারামবোধ থাকে | ✳️যে সকল রোগীনি, হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা ক্ষতি হয়েছে তাদের পুনরায় সুচিকিৎসার উপযোগী করে তুলতে সিপিয়া তুলনাহীন। 🚱🚱এবার, তুলনা ✳️ বিমর্ষতা ও ক্রন্দন স্বভাব--- Sepia, Nat Mur, Pulsatilla এতে আছে। ✳️Sepia---সিপিয়ায় বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে। ✳️তাছাড়া, সিপিয়াতে স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে না। ✳️Nat Mur-- নেট্রাম মিউরেও বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে | তবে, নেট্রাম মিউর- এ স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে। ✳️পালসেটিলার বিষন্নতার সাথেও মধুর ও বিনয়ী স্বভাব থাকে। ✳️জ্বালা ও ঠান্ডাপ্রিয়তা --- Sepia, Phosphorus ও Apis Mel। ✳️Sepia-- সম্পূর্ণ শরীরে ঠান্ডা চায়। ✳️Phosphorus - মাথায় ও পেটে ঠান্ডা চায়। ✳️চর্মরোগে -- Sepia, Sulphur ✳️Sepia-- চুলকায়, চুলকানোর পর জ্বালা করেমি_সিপিয়া_বলছি 🚯 সিপিয়া একটি ঔষধটি প্রানীজ ঔষধ। ✡️আমি দেখতে কেমন -- 🔯 সিপিয়া হলো কাটল ফিশ নামক এক প্রকার মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। 🔯কাটল মাছের চেহারাটা লম্বাটে ধরনের।এর গড়নও লম্বাটে ধরনের। কাটল্ ফিশের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এরা কখনো সন্তান প্রতিপালন করে না। ⚛️ আমি কেমন প্রকৃতির....... আমি সমুদ্রে দলবদ্ধভাবে কখনোই ঘোরাঘুরি করি না। আমি স্বাধীন ভাবে একা একা ঘুরতে পছন্দ করি। আমার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল আমি কখনোই সন্তান প্রতিপালন করতে পারি না। অর্থাৎ আমি নিজের ডিমফোটা বাচ্চা থেকে সবসময় দূরে দূরে থাকি। আমি পানির ভিতরে বা উপরে হোক না কেন আমার পাখনা স্থির রাখতে পারি না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো, আমি বেশিক্ষণ এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারি না। 🔯🔯আমার কিছু মূল্যবান কথা বলতে চাই --- ✳️আমি পূর্বে বড় স্বাস্হ্যবান ছিলাম কিন্তু বর্তমানে সংসারের মোহে পড়ে একে বারে রোগাটে হয়ে গেছি।মানে পুরাই মেদহীন। ✳️ আমার সব সময় শরীলে জীর্নশীর্ন ভাব থাকে। ✳️আগে যাদের বেশি ভালবাসতাম তাদের বড়ই অচেনা লাগে। ✳️সব কিছু পেয়েছি কিন্তু আমার স্বপ্ন মরুচিকার মতো। ✳️আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু আমি তার মনের মতো হতে পারলাম না। 🔯🔯এই মানসিকতায় মহিলাদের জন্য উপকারী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, মানুষের মধ্যে থাকতে অসহ্য লাগে কিন্তু একা থাকতে আবার ভয় করে। ✳️সিপিয়ার রোগী প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। ✳️সিপিয়ার রোগীর মনে হয় জরায়ু নিচ থেকে বের হয়ে যাবে। ✳️নিচের দিকে ঠেলা মারা বেদনা হয়। ✳️জরায়ু শুষ্ক থাকে বিধায় স্বামী সহবাসে কষ্ট হয়। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগী বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। ✳️বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার জন্য যাহা কিছু দরকার তাহাই চেষ্টা করে থাকে। ✳️এমনকি নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও বিপরীত লিঙ্গের লোকের কথা মেনে চলার চেষ্টা করে। ✳️সিপিয়া রোগী খুবই দূর্বল হয়ে থাকে। ✳️অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে থাকে। ✳️বিশেষতঃ হাটু চেপে বসে অনেকক্ষণ কাজ করলে বেশি দুর্বল হয়ে থাকে। ✳️সিপিয়ার চলাফেরা অতি স্লো | এই ঔষধের রোগী ভারী কাজ করতে পারে না, বললেই চলে। ✳️সিপিয়ার রোগীর সাংসারিক কাজে মন থাকে না কিন্তু বাহিরের কাজ ঠিকমতো করে থাকে। ✳️বাজার করা,কারেন্ট বিল, পানি বিল দেওয়া ইত্যাদি। ✳️সিপিয়ার রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে। ✳️সিপিয়ার রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে। ✳️সিপিয়ার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন হলো--সকালে মুখ ধোয়ার সময় বমি বমি ভাব দেখা যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীর চেহারা দেখিলে প্রকৃত বয়স অপেক্ষা বেশি বয়স বলে মনে হয়ে থাকে। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীর গোসলে ইচ্ছা থাকে কিন্তু গোসল সহ্য হয় না। ✳️সিপিয়া রোগীর, ঋতুস্রাবকালে পিপাসা বেশি হয়,ঋতুস্রাবকালে অত্যধিক চুল ওঠে।বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার পর যে ঋতুস্রাব হয় ঐ সময় অত্যধিক চুল ওঠে। ✳️ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত কাশি হয়। ✳️মাসিক শুরু তো কাশি শুরু,মাসিক শেষ তো কাশি শেষ। ✳️পোশাকের দিক হতে কালো পোশাক পছন্দ করে। যে কোন কালারের পোশাক পড়লেও কালো রংয়ের প্রাধান্য থাকে। সাদার উপর কালো স্টেপ, অথবা হলুদের সাথে কালে মিশেল ইত্যাদি। ✳️সিপিয়াতে প্রচুর পরিমানে সাদা স্রাব থাকে | বলতে গেলে সবসময় সাদাস্রাব কম বেশি লেগেই থাকে, সাথে জরায়ুতে চুলকানি থাকে। ✳️ঘামের ক্ষেত্রে, মুখমন্ডল ছাড়া সারা শরীর ঘামে থাকে। ✳️কথা বলতে গেলে, সাধারণত না কেঁদে কষ্টের কথা বলতে পারে না। ✳️সিপিয়া রোগীর, খাওয়ার পরেও, পেটটা খালি খালি বোধ হয়ে থাকে | 🚷🚷 🚷সিপিয়া একটি এন্টি সোরিক, এন্টি সাইকোটিক ঔষধ। ✳️ইহা সাধারনত বামপাশে ভালো কাজ করে। ✳️ইহা একটি শীতকাতর ঔষধ। 🚷আসুন দেখি, সিপিয়ার রোগী কিভাবে চেনা যায়। ✳️যে সকল মহিলা রোগী লম্বা ও পাতলা হয়ে থাকে। ✳️কাঁধ হতে কোমর পর্যন্ত সরল হয়ে থাকে। পুরুষের মতো গঠন হয়ে থাকে। কোমরে কোন ভাঁজ থাকে না বললেই চলে। নিতম্ব পুরুষের মত সুগঠিত ও অপ্রশস্ত থাকে। ✳️যখন হাঁটবে তখন নিতম্বতে কোন ছন্দ থাকে না এই সকল রোগীরাই সিপিয়ার রোগী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ✳️সিপিয়ার রোগী পিছন দিক থেকে দেখলে পুরুষের মতো মনে হয়। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়া রোগীর নিকট মাতৃত্ব একটা বোঝা মনে হয়ে থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগী মুলতঃ লাজুক টাইপের হয়ে থাকে। ✳️এরা চিপিয়া চিপিয়া কথা বলে থাকে। ✳️তবে, সিপিয়ায়ও মাঝে মাঝে একগুঁয়ে ও উত্তেজিত ভাবও দেখা যায় | ✳️সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। ✳️সেকারনে,মেন্টালি ডিপ্রেশনে ভোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ✳️সিপিয়ার রোগিনীর নিজের অজান্তেই কান্না পায়। ✳️সাধারণত বজ্রপাতে মহিলারা একটু ভয় পেয়ে থাকে। ✳️কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায় ✳️কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায়। ✳️সিপিয়ার রোগী রোগের কারণে সুইসাইড করতে চায়। ✳️অতিরিক্ত তামাক খাওয়ার জন্য যে মানসিক যে কুফল হয় সিপিয়া সেই কুফল দূর করতে উপযোগী। ✳️সিপিয়ার রোগী ভবিষ্যতের ভয় নিয়ে টেনশন বেশি করে থাকে। ✳️ কি খাব, কি করবো,তাছাড়া, ভূতের ভয় , কল্পনায় মৃত ব্যক্তির ছবি দেখে ভয় ইত্যাদিও থাকে। ✳️প্রেমের সময় কত প্রতিশ্রুতি থাকে,পার্কে বসে বাদাম খায় | আর বিশাল বিশাল চিন্তা করে।ভবিষৎত জীবন নিয়ে কল্পনার হাওয়ার ওড়ে।কিন্তু, প্রেমের বিয়ের পর বাস্তব জীবনে এসে হতাশ হয়ে পড়েন। ✳️যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী। ✳️যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী। ✳️মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীনির, নিচের ঠোট মোটা থাকে।অনেকের ক্ষেত্রে, নিচের ঠোট সর্ব ঋতুতেই ফাটা ফাটা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীরা, গলার টাই, মাফলার , জামার গলায় বোতাম বা মহিলারা কামিজ পড়লে টাইট গলা পড়তে পারে না, সর্বদা উহা ঢিলা করিয়া পড়ে থাকে। ✳️সাধারণত সিপিয়ার রোগীর জিহ্বা অপরিস্কার থাকে। ✳️তবে, মনে রাখবেন প্রতিবার ঋতুস্রাব চলাকালে জিহ্বা পরিস্কার হয়ে থাকে আবার, ঋতুস্রাব বন্ধ হইলেই উহা অপরিস্কার হয়ে যায়। ✳️সিপিয়ার রোগীনি, টক ঝাল খুবই পছন্দ করে। ✳️সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে। ✳️সিপিয়ার পেটে ব্যথা সবসময় পেটের সামনে থেকে পিছনের দিকে যায়।মানে পেট হতে কোমরে,মাসিকের সময় হোক বা অন্য যে কোন সময় হোক না কেন এই রকম পেটে ব্যাথায় সিপিয়া খুবই উপকারী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, খাবারের কথা চিন্তা করলেই পাকস্থলীতে শূনত্যাবোধ হয়ে থাকে ✳️মনে রাখবেন, ঋতুস্রাব সময়ের কিছুদিন আগে বা কিছুদিন পরে হোক, ঋতুস্রাবে স্বল্প হোক বা বেশি হোক সর্বক্ষেত্রেই সিপিয়া উপযোগী। ✳️সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে।সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর, ঘনঘন গর্ভপাত হয়ে থাকে। ✳️অকাল প্রসবের প্রবণতা দূর করার ক্ষেত্রেও সিপিয়া খুবই উপকারী। ✳️সাধারনত ৫ম হইতে ৭ম মাসে গর্ভস্রাব হইবার প্রবনতা থাকলে সিপিয়া ভালো কাজ করে। ✳️গর্ভাবস্থায় দুধের মতো সাদা বমি সিপিয়া ছাড়া অন্য কোন ঔষধে নাই বললেই চলে। ✳️অতিরিক্ত স্বামী সহবাস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, অতিশয় রক্তক্ষয়, অতিরিক্ত স্তন্যদান হেতু স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলেও সিপিয়া চিন্তা করা যেতে পারে | ✳️সিপিয়ার পুরুষদের লিঙ্গমুন্ডের মাথায় গ্লীট আটকে যায় এই অবস্থায় সিপিয়া খুবই মূল্যবান ঔষধ। ✳️মাসিক শুরু তো কাশি শুরু, মাসিক শেষ তো কাশি শেষ। ✳️সিপিয়ার রোগীর, জরায়ুর মুখের উপরদিকে তীব্র সূচ ফোটানো বেদনা থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগীর, মলত্যাগকালে এবং মলত্যাগের পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বারে যন্ত্রণা থাকে।মলদ্বারে একটা গোলা থাকার ন্যায় অনুভূতি থাকে। ✳️সিপিয়ার রোগী বাম কাতে শুলে হার্টে ব্যাথা বা দম বন্ধ ভাব হয় বা আড়ষ্টতা দেখা যায় | সেকারনে ডান কাতে শুলে আারামবোধ থাকে | ✳️যে সকল রোগীনি, হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা ক্ষতি হয়েছে তাদের পুনরায় সুচিকিৎসার উপযোগী করে তুলতে সিপিয়া তুলনাহীন। 🚱🚱এবার, তুলনা ✳️ বিমর্ষতা ও ক্রন্দন স্বভাব--- Sepia, Nat Mur, Pulsatilla এতে আছে। ✳️Sepia---সিপিয়ায় বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে। ✳️তাছাড়া, সিপিয়াতে স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে না। ✳️Nat Mur-- নেট্রাম মিউরেও বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে | তবে, নেট্রাম মিউর- এ স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে। ✳️পালসেটিলার বিষন্নতার সাথেও মধুর ও বিনয়ী স্বভাব থাকে। ✳️জ্বালা ও ঠান্ডাপ্রিয়তা --- Sepia, Phosphorus ও Apis Mel। ✳️Sepia-- সম্পূর্ণ শরীরে ঠান্ডা চায়। ✳️Phosphorus - মাথায় ও পেটে ঠান্ডা চায়। ✳️চর্মরোগে -- Sepia, Sulphur ✳️Sepia-- চুলকায়, চুলকানোর পর জ্বালা করে

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়

  🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয় নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫...