Tuesday, 28 June 2022

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়

 🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়


নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
 মূলত ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে ওভারিয়ান সিস্ট বলা হয়।  



🎀 কারণ

➡️ ওজনাধিক্যের কারণে সিস্ট হতে পারে।
➡️ বন্ধ্যত্ব রোগের চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার জন্যও এই সমস্যা হতে পারে।
➡️ হরমোনজনিত কারণে হতে পারে।
➡️ বংশগত কারণে হতে পারে।
➡️ ওভারি ক্যানসার,
➡️ ব্রেস্ট ক্যানসার, 
➡️ খাদ্যনালির ক্যানসার বিশেষ করে বিআরসিএ জিন যাদের থাকে তাদের এ সমস্যা হতে পারে।


🎀 লক্ষণ

ওভারি সিস্ট হলে খাওয়ার অরুচি হয়। 
ওজন বেড়ে যেতে পারে। 
যদি এর কারণে ক্যানসার হয় তখন ওজন কমে যেতে পারে। 
বমি হয়ে থাকে
কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং 
পেট তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। 


🎀প্রকার 

💥ফাংশনাল সিস্ট 
💥পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট
💥ডারময়েড সিস্ট
💥 সিস্ট এডোনোমা 


🎀 সমস্যা

বন্ধ্যত্ব হতে পারে এবং মাসিক অনিয়মিত হয়।
অনেক সময় তীব্র ব্যথা করে। যেকোনো সময় ওভারি পেঁচিয়ে যেতে পারে। এর  কারণে বিনাইন ক্যানসার হতে পারে।


🎀 চিকিৎসা

 লক্ষণ অনুযায়ী ল্যাকেসিস, নেট্রাম মিউর, এপিসমেল, ম্যাগফস, অরামমেট, ক্যল্ক ফ্লোর ইত্যাদি নামক হোমিও মেডিসিন খেতে হবে। প্রায় ৬-৭মাস খাওয়া লাগতে পারে। 


কিছু কিছু বিনাইন টিউমারে যেগুলোর ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না সেগুলোতে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। 


🎗️আর যদি বেশি সমস্যা হয়, ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে, প্রচণ্ড ব্যথা হয়, সিস্ট বড় হতে থাকে তখন  সার্জারি করা হয়। এ ছাড়া লেপারেস্কোপি, লেপারেকটমিও করতে হবে আর ক্যানসার হলে ক্যামোথেরাপি বা রেডিও থেরাপি দিতে হবে। 


🎀 জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে

ওজন কম রাখা (পেলসেপটিক ওভারির ক্ষেত্রে)।
এন্ডমেট্রিওটিকের ক্ষেত্রে বিয়ে করা এবং সন্তান নেওয়া।
কিছু কিছু টিউমার আছে যারা নীরব ঘাতক। তাই নিজের উদ্যোগে নিয়মিত চেকআপ করা।



Saturday, 18 June 2022

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয়

 কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয়ঃ

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

🔴CBC যে যে রোগে করা হয়ঃ

"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''''''''"

⏩জ্বর হলে কি কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য।অনেক সময় blood culture করতে হয়।
⏩শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য।
⏩রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।
⏩শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়।
⏩ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।

🔵Urine R/E প্রস্রাব টেস্ট যে যে কারনে করা হয়ঃ

""'''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""""

👉ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু
👉ডায়াবেটিস আছে কিনা
👉প্রোটিন যায় কিনা
👉রক্ত যায় কিনা
👉কিডনীতে পাথর আছে কিনা

🔴RBS-Random Blood Sugar: ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।



🔵Serum Creatinine:যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এটেস্ট করা উচিত)

🔴Lipid profile: রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।

🔵Serum Bilirubin: জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়।একদম প্রাথমিক টেস্ট।জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।

🔴SGPT/SGOT: লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।
🔵Serum Electrolyte: রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়।শরীর দূর্বল লাগলে,বেশীবমি, ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা করা হয়।

🔴HBsAG: জন্ডিস এবং লিভার কন্ডিশন বুঝার জন্য এ পরিক্ষা করা হয়। 
🔵HBA1c: ডায়বেটিস বা রক্তে গ্লুকোজ নির্ণয়ের জন্য করা হয়।

🔵LFT: লিভারের সমস্যা বুঝতে এ পরিক্ষা করা হয়।
🔴BT CT: রক্তরােগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
🔵Via Test: সার্ভিক্সের ইনফেকশন বা  ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এ পরিক্ষা করা হয়।

🔴TSH: Thyroid stimulating hormone এই পরিক্ষা হরমন নির্ণয়ের জন্য করা হয়।
🔵EcG: হৃদরােগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।
🔴ChestX-ray: বুকের ও হার্টের কন্ডিশন বুঝার জন্য করা হয়।

© Copied

Monday, 13 June 2022

লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

 🎓লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস



🎩বৃটিশ রাজপরিবার হোমিওপ্যাথির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। 

আমরা জানি, রাজপরিবারের সদস্য ডক্টর কুইন (Dr. Quin) কলেরা আক্রান্ত হয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ক্যামফর (Camphor) সেবনে আরোগ্যলাভ করেছিলেন।


 🎩তারপর থেকেই (১৮৩২) তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করেন। 

১৮৪৯ সালে তিনি লন্ডনে প্রথম হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
 বলা যায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের গুণাবলীর কারণেই হোমিওপ্যাথি রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল, 


 🎩এখনও পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা রয়াল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক  হাসপাতালে  স্বগৌরবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

হস্তমৈথুনজনিত কুফল

 হস্তমৈথুনজনিত কুফল


হস্তমৈথুন হচ্ছে যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য পুরুষের লিঙ্গ অথবা নারী তার যোনির ঘর্ষণ এবং স্তন স্পর্শ করে যৌন আনন্দ উপভোগ করে। 

অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে একজন পুরুষের যেসব সমস্যা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ



১.দ্রুত বীর্যপাত( Premature ejaculation). 
২.বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া (Temporary oligospermia).  Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। ফলে পুরুষ Infertility তে ভোগে।
৩.অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। 
৪.পেনিসে শিথিলতা দেখা দেয়।
৫.Nervous system, heart,digestive system, urinary system এবং আরো অন্যান্য System ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬.পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ বালাইয়ের আতুড়ঘরে পরিণত হয়। 
৭.চোখের ক্ষতি হয়। 
৮.স্মরণশক্তি কমে যায়। 
৯.মাথা ব্যথা হয়।
১০.হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শোনেন। 
১১.নাকের ঘ্রানশক্তি কমে যায়। 
১২.সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয় (Leakage of semen). 
 ১৩.হতাশা বেড়ে যায়। 
১৪.স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় এবং রুগ্ন ব্যক্তির মতো দেখায়।
১৫.অনেকের অল্প বয়সে বৃদ্ধ মানুষের মত চেহারা হয়।


হোমিওপ্যাথি তে হস্তমৈথুনজনিত সকল সমস্যার কার্যকর সলিউশন রয়েছে। সঠিক সিম্পটম অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

ডাঃ মোঃ কানিজ শেখ

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়

  🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয় নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫...