Wednesday, 30 March 2022

মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

 মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

১. সেঁক নিন


গরম সেঁক নিন। একটি ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ একটি তোয়ালে অথবা মোটা গামছা দিয়ে মুড়িয়ে পেটের ওপর রাখতে পারেন। পেটে সেঁক নিলে তা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। 
হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। যেমন—
সহনীয় তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন
মুখ ভালোভাবে আটকানো আছে কি না দেখে নিন
একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্যাগ উল্টেপাল্টে দিন
‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ এর পরিবর্তে ইলেকট্রিক ‘হিটিং প্যাড’-ও ব্যবহার করা যেতে পারে।


২. ব্যায়াম করুন


পিরিয়ডের ব্যথার কারণে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করার ইচ্ছা না থাকাই স্বাভাবিক। তবে ব্যায়াম অথবা যেকোনো উপায়ে শরীর সচল রাখলে মাসিকের ব্যথা কমে আসতে পারে। হাঁটা, সাইকেল চালানো অথবা সাঁতার কাটার মতো হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।


৩. পেট ম্যাসাজ (আলতো করে মালিশ) করুন


তলপেট ও এর আশেপাশে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে সেটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।



৪. রিল্যাক্স করুন


রিল্যাক্স করার অর্থাৎ মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন ব্যথা ও অস্বস্তির অনুভূতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।


৫. কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন


কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো যায়। এটি আপনাকে রিল্যাক্স করতেও সাহায্য করবে।

Tuesday, 29 March 2022

গরমে সুস্থ থাকার খুঁটিনাটি

 ✍️✍️✍️গরমে সুস্থ থাকার খুঁটিনাটি ✍️✍️✍️


চৈত্র-বৈশাখ মধুমাস। এই মাসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন স্বাদের রসালো ফলের সমাহার হয় । বিভিন্ন রসালো ফলের সমাহার আমাদের মনকে যেমন আনন্দ দেয়  এই মাসগুলোতে গরমে আমাদের তেমনি কষ্ট দেয়। এই মাসগুলোতে সব বয়সী মানুষ বিভিন্ন রোগ ভোগ করে। ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এজাতীয় নানা রোগে ভোগে । তাই এই অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ায় কিভাবে নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ভালো রাখা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক ।


1.প্রচুর পানি পান করুনঃ

 এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন । প্রতিদিনই ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং লবণ আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত 6 লিটার পানি পান করুন।


 2. লেবু,বেলের শরবত ও ডাবের পানি পান করুনঃ

 গরমে নিয়মিত লেবু অথবা বেলের শরবত পান করুন। সম্ভব হলে ডাবের পানি খান । লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল,শর্করা। ডাবের পানিতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন , আয়োডিন ইত্যাদি। এ জাতীয় পানি পান করলে শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ করবে। এবং শরীরে ভিটামিনের ও আয়োডিনের সমস্যা দূর করে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।


 3. রসলো ফল খানঃ

 প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসালো ফল রাখুন। রসালো ফল আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। যেমনঃ তরমুজ , আঙ্গুর, আনারস, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি। এছাড়াও দেশি ফল আম ,জাম ,কাঁঠাল ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।


4. বেশি বেশি সবজি খানঃ

 প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখুন । এসময় যথাসম্ভব কষা রান্না পরিহার করে ঝোল জাতীয় সবজি খান। শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায় বলে ঝোল জাতীয় খাবার থাকা খুবই দরকার ।


 5.মাংস খাওয়া পরিহার করুনঃ

 অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন মাংস খেলে শরীরে নানা রোগ জন্ম দেয়। আর গরমে প্রতিদিন মাংস খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় জাতীয় রোগ বেশি হয় । তাই গরমে সুস্থ থাকতে মাংস জাতীয় খাবার পরিহার করুন।



 6 . চা-কফি পরিহার করুনঃ

 চা এবং কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা শরীরকে সুস্ক করে তোলে । গৃষ্ম কালে প্রচুর ঘামের জন্য শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। তাই গরমের সময় যত সম্ভব চা-কফি, কোলড্রিংস জাতীয় খাবার পরিহার করুন।


 7.ছাত ব্যবহার করুনঃ

 বাহিরে বেরোনোর সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্কিন ক্যান্সারের অন্যতম এই অতি বেগুনি রশ্মি। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমনকি হিট স্ট্রোকও হতে পারে ।


8. হালকা ব্যায়াম করুনঃ

 প্রতিদিন সকালে হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম দেহ-মনের উৎকর্ষতা সাধন করে, দেহ ও মনকে সতেজ রাখে। কর্মক্ষমতা ও শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে । এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


9.ব্যাগে পানির বোতল রাখুনঃ

 বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। অনেক সময় অনেক স্থানে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানের পানি খাওয়ার কারণে আপনার বমি, বদহজম ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিজের সাথে বিশুদ্ধ পানি রাখুন।


10.সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুনঃ

 গরমে সুতির কাপড় আপনার জন্য আরামদায়ক হতে পারে। হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কেননা আট-সাট পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। তাছাড়া গাড়ো রং সূর্যের তাপমাত্রা বেশি শোষণ করে, বিধায় গাড়ো রঙের  পোশাকে গরম বেশি লাগে এবং বেশি ঘাম হয়। যার কারণে শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়ে যায়। তাই প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকতে হালকা রঙের সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।
 সামান্য কিছু নিয়ম আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সুস্থ সুন্দর ও সুখী জীবনযাপন করতে গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো করে চলুন।
                           ধন্যবাদ 

           লেখক ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম খলীল 
               জীবননগর , চুয়াডাঙ্গা

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয়

  🎀 ওভারিয়ান সিস্টের কারণ ও করণীয় নারীর ওভারি অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত যেকোন বয়সের নারীদের হতে পারে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫...